বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
করোনাকালিন বিপর্যয় কাটিয়ে কৃষক আবারও স্বপ্ন বুনছেন নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে। এমনি অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড লাউ মারিয়া চাষে চমক সৃর্ষ্টি করেছেন ইছাকুটা গ্রামের কৃষক মুর্তুজা আলী। লালতীরের আকর্ষণীয় হাইব্রিড লাউ মারিয়া চাষের সফলতায় অনান্য কৃষকদের মাঝেও সারা জাগিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন সফলতা দেখে এ গ্রামের বেকার যুবক সহ অনেকেই এখন ঝুঁকছেন লাউ মারিয়া চাষের দিকে। অল্প খরছে অধিক লাভবান হওয়ায় লাউ মারিয়া চাষ করতে আগ্রহী এলাকার অনেক কৃষক। এই উচ্চ ফলন শীল বীজ সকল কৃষদের মাঝে বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নিয়েছে বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড।
মারিয়া বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান শ্রীমঙ্গলস্থ লাল তীর সীড অফিস সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ইছাকুটা গ্রামের কৃষক মুর্তুজা আলী। তার ৬ শতাংশ জমিতে প্রথম বারের মত পরীক্ষা মূলক শুরু করেন লালতীর এর হাইব্রিড জাতের লাউ মারিয়া চাষ। তার মাঠে এখন সারি সারি গাছে ঝুলছে অগণিত লাউ মারিয়া আর মারিয়া। চারা লাগানোর ৫০ দিনের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। ওজনে লাউ গুলো হয়ে থাকে দেড় থেকে ২ কেজি। টানা ৩ মাস ফল দেয় মারিয়া। ৬ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করতে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকার মতো। আর এখন মাঠ থেকে প্রতি পিছ লাউ বিক্রি করেছেন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা মূল্যে। প্রথম অবস্তায় ১৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন কৃষক মুর্তুজা আলী। বিঘা প্রতি হাইব্রিড লাউ মারিয়ার উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২০ মেট্রিকটন।
সফল কৃষক মুর্তুজা আলী জানান, এ সময়ে বাজারে লাউয়ের চাহিদা বেশি থাকে। তাই স্থানীয় বাজারে লাউয়ের চাহিদাও ভালো। এমন উৎপাদন অব্যাহত থাকলে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে হাইব্রিড লাউ মারিয়া বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
এখানকার স্থানীয় কৃষক ময়না মিয়া সহ অনেকেই জানালেন, মুর্তুজা আলী হাইব্রিড লাউ মারিয়া চাষ শুরু করার অল্প সময়ে চাষে সফল হয়েছেন। তাঁর চাষ দেখে আমাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার এ সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই হাইব্রিড লাউ মারিয়া চাষ করার পরিকল্পনা করছে।
হাইব্রিড লাউ মারিয়া বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড লিমিটেড এর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, লালতীর হাইব্রিড লাউ মারিয়া অধিক ফলনশীল আকর্ষণীয় ও এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সহনশীল। লাউটি হালকা সবুজ ও গোল আকৃতির। আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত একটি লাউয়ের জাত এটি। কৃষকদের জন্য অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভজনক এবং সারা বছর চাষ করা যায়।
মুর্তুজা আলীর মত অন্যান্য কৃষকরাও যেন তাদের অনেক অনাবাদি, খালি পড়ে থাকা জমিতে লাউ চাষ বৃদ্ধি করেন। এ অঞ্চলে সবজি চাষ বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন জাতের সবজির প্রসার ঘটাতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে জানান বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী।